জেলা সংবাদদুর্ঘটনা

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ দ্বগ্ধ-৫

স্টাফ রির্পোটারঃ নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার শিবু মার্কেটের রামারবাগ এলাকার শাহনাজ বেগমের ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধরা হলেন- মো. আল-আমিন (৩০), তার স্ত্রী মোছা. সুখী আক্তার (২৫), মো. রফিক (৩৫), মোছা. আলেয়া বেগম (৬৫) ও মো. জামাল উদ্দিন (৪৫)। দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন।

তাদের মধ্যে আল-আমিন ও সুখী আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। দগ্ধ আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, দুপুরে বাসায় এসে রান্না করার সময় চুলায় ম্যাচ ফায়ার করতেই পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দুজন এবং আশপাশের আরও তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নেওয়া হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহানাজ বেগমের দুতলা বাড়ির নিচতলায় চারটি রুম রয়েছে। এসব রুমের জন্য একটি বাথরুম, গোসলখানা ও দুইটি গ্যাসের চুলা রয়েছে। আল আমিনের রুমের ডান পাশে বাইরে গ্যাসের চুলা। দুপুরে খাবারের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় আল আমিনের রুমের দুটি জানালা বন্দ ছিল। এতে জমাট বাধা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আল আমিন ও তার স্ত্রী সুখী বেগমের মুখ, বুক ও শরীরের নিচের অংশ দগ্ধ হয়েছে। এ সময় তাদের রুমের দরজা জানালা উড়ে গিয়ে পাশের ফারুকের ভাড়া বাড়ির ৪টি রুমের জানালা ভেঙে যায়। ওই সময় বাহিরের আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন >   আড়াইহাজারে মৌমাছির আক্রমণে শ্রমিক নিহত, আহত ৫

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি জানান, তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করে জানানো হবে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, ফতুল্লা থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ হয়ে পাঁচজন এসেছেন। তাদের মধ্যে আল-আমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এছাড়া রফিকের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ আলেয়া ও জামাল জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

Back to top button