স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকায় নিজ ঘর থেকে শামসুন্নাহার চৈতি (২৬) নামে এক নারী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
চৈতির শরীরে ব্লেডের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, স্বামী সাইফুল ইসলাম তাঁকে নির্যাতনের পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকে সাইফুল পলাতক রয়েছেন।
নিহত চৈতি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার হাড়িয়াগাই এলাকার সামসুউদ্দিন মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলামও একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, চৈতি কালিবাড়ীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং স্বামীর সঙ্গে মাসুম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রোববার ভোরে অন্য ভাড়াটিয়ারা ঘরে চৈতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানানো হলে, তিনি পুলিশে খবর দেন।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক কলহ ও সম্পর্কজনিত কারণে চৈতি ও সাইফুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, চৈতির শরীরে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে নির্যাতনের পর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ এফরান আলী , যোগাযোগ: ০১৭১১৪৫৭০৫২
অফিসঃ আড়াইহাজার নারায়ণগগঞ্জ যোগাযোগ: ০১৯৬৬২২৫৫০২ এবং ০১৭১১৪৫৭০৫২ ইমেইল: weekly.araihazar@gmail.com
Copyright © 2025 সাপ্তাহিক আড়াইহাজার. All rights reserved.