অপরাধআড়াইহাজার উপজেলাসারাদেশে

আড়াইহাজারে ফাঁদে ফেলে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ

স্টাফ রির্পোটারঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে প্রবাসীর স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে দুজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আড়াইহাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসমিরা হলো উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের দৈবই গ্রামের মানিক ও তার ম্যানেজার (অজ্ঞাত)। রবিবার আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব মামলা  দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ধর্ষিতার ১০ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ঘরে ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী বিদেশে থাকায় ছেলেকে নিয়ে তিনি পিত্রালয়ে বসবাস করেন। গত দুই মাস পূর্বে সাতগ্রাম ইউনিয়নের দৈবই গ্রামের মানিকের সাথে বাসে পরিচয় সূত্রে জানতে পারে সে কাপড়ের ব্যবসা করে। 

তার মালিকাধীন ‘সৌদিয়া বোরকা এন্ড হিজাব’ নামে কাপড়ের দোকান রয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ধর্ষিতার পরিবারে আর্থিক অনটন দেখা দেয়। তখন তিনি তার মায়ের কাছ থেকে শেখা কাপড়ের ব্যবস্থা করে সংসার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত বুধবার মানিকের দোকান থেকে কাপড় নিয়ে ব্যবসা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। নরসিংদী জেলার মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে আসলে মানিকের ম্যানেজার আজ দোকান বন্ধ এই কথা বলে গোডাউন থেকে কাপড় দেয়ার কথা বলে। ওই দিন দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে দৈবই মানিকের বাড়িতে ভিতরে নিয়ে গিয়ে ম্যানেজার বাড়ির কলাপসল গেইট বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন >   না.গঞ্জে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ১০ভরি স্বর্ণা সহ নগদ টাকা চুরি

এসময় ধর্ষিতার সন্দেহ হলে মোবাইলে কল দিতে চাইলে মানিক তার মুখ চেপে ধরে মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধাক্কা দিয়ে খাটের উপর ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মানিকের ম্যানেজার ধর্ষণের দৃশ্যের মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ম্যানেজারও দৈহিক মিলনের প্রস্তাব দেয়। এতে ওই ধর্ষিতা রাজী না হওয়ায় ম্যানেজার ও মানিক তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 


এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিন বিকাল তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের করে রিক্সা তুলে দেয় এবং এ ঘটনা প্রকাশ করলে মোবাইলে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হুমকী দেয়। পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবগত করলে শনিবার ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।


আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button