আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় যুবদল নেতা বাকির মোল্লার উপর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মারধরের এক পর্যায়ে ওই যুবদল নেতা অচেতন হয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, আহত যুবদল নেতা বাকির মোল্লা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারী ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাতগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নির্দেশে ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন ও কর্মসূচি গুলোতে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি এ হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন।
আহত যুবদল নেতা বাকির মোল্লা জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশের আগ থেকেই আমি এলাকায় থাকি না। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ফলে আমি মাঝে মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসি। নির্বাচন পরবর্তী গত সোমবার রাতে আমি বাড়িতে আসি এবং সকালে বাড়িত বের হওয়ার সময়ে সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওদুদ মাহমুদের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং মারধর করে আমাকে অবচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে জানতে সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওদুদ মাহমুদ জানান, আমার এলাকায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সত্য নহে। আপনি ফোন পেয়েই প্রথম জানতে পারলাম। নির্বাচনের পর এমপি নজরুল ইসলাম বাবু নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি জামায়াত বা যে কোনো দলের লোকজন হউক সবাই আমরা ভাই এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনা যাবেনা। তাই বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, এই হামলা ও মারধরের বিচার একদিন আড়াইহাজারের মাটিতেই হবে ইনশাল্লাহ।