অপরাধ

টিপ পরায় শিক্ষিকাকে হেনস্তার সত্যতা মিলেছে

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কলেজ শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে কপালে টিপ পরা নিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক নিজেই নিয়ম ভেঙেছেন এবং ঘটনা নিয়ে ‘অসত্য তথ্য’ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

শুক্রবার তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল-তেজগাঁও) স্নেহাশীষ কুমার দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষক লতা সমাদ্দারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় পুলিশের পোশাক পরা একজনের বিরুদ্ধে ‘ইভটিজিং’ এবং ‘প্রাণনাশের চেষ্টা’র অভিযোগে জিডি করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার।

জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, কপালে টিপ পরে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।  তাকে এ হেনন্তা করেন মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্য। অভিযোগে লতা বলেন, এক পুলিশ সদস্য তাকে উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করেন সেই ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে অভিযোগটি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ৪ এপ্রিল সকালে নাজমুল তারেক নামের অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

নাজমুল তারেক ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রটেকশন বিভাগের কর্মরত ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল দাবি করেছিলেন, ঘটনার সময় মোটসাইকেলের পেছনে তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী বসা ছিলেন। তার গায়ে ধাক্কা লাগায় নাজমুল তর্কে জাড়িয়েছিলেন লতার সঙ্গে। কিন্তু পরে সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই সময় মোটর সাইকেলে নাজমুলের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন না, ছিল একটি ব্যাগ। তাছাড়া ওই দিন তিনি উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, মাথায় হেলমেটও ছিল না।

আরও দেখুন

সম্পৃক্ত

এছাড়াও পড়ুন
Close
Back to top button